ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি রুপির দরপতন। আন্তব্যাংক বাজারে গতকাল মঙ্গলবার প্রতি ডলারের দর দাঁড়িয়েছে ২৮৭ দশমিক ২৯ রুপি। এতে রুপির দর ইতিহাসের সবচেয়ে নিচে নেমে গেছে। খবর দ্য ডনের।
গেলো সোমবার পাকিস্তানে ডলারের দর বেড়েছিল ১ দশমিক ২৫ রুপি। মঙ্গলবার তা আবার ২ দশমিক ২৫ রুপি বাড়ে। অর্থাৎ কয়েক মাস ধরেই ডলারের বিপরীতে দেশটির মুদ্রার এই দরপতন চলছে। এতে বুঝা জায় সামগ্রিকভাবে পাকিস্তানের অর্থনীতি বড় সংকটে পড়েছে।
মুদ্রার এ দরপতনের কারণে পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতির সূচক রীতিমতো আকাশ ছুঁয়েছে। মার্চে দেশটির সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ শতাংশ। স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তান সরকার মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে ও বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার টিকিয়ে রাখতে আমদানি সীমিত করেছে। কিন্তু আমদানিকারকেরা দুবাই থেকে বা অনানুষ্ঠানিক বাজার থেকে ডলার কিনছেন।দুবাই থেকে অবশ্য প্রতি ডলার কিনতে আমদানিকারকদের ৩২৫ রুপি ব্যয় করতে হচ্ছে। এ দামে ডলার কিনে আমদানি করা হলে মূল্যস্ফীতির দ্রুত বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক।
তবে পাকিস্তানের মুদ্রা বিনিময়কারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, তাদের ঘোষিত দরে খোলাবাজারে ডলার পাওয়া যাচ্ছে। আজ বুধবার সকালে এক্সচেঞ্জ কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন অব পাকিস্তান ডলারের দর দিয়েছে ২৮৯ দশমিক ৩০ রুপি, আগের দিন যা ছিল ২৮৭ রুপি।
পাকিস্তানের বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, রাজনৈতিক সংকটের কারণে পাকিস্তানের অর্থনীতিকে কড়া মূল্য দিতে হচ্ছে। মুদ্রা ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকেরা বলছেন, পুরো এক বছর নিছক রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর করে চলে গেল। এতে অর্থনীতির ক্ষতিই হয়েছে, আর কিছু নয়।