ঢাকার ধামরাইয়ে মেয়েদের ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মোঃ রাজু আহম্মেদ (২০)এর ওপর বর্বাচিত হামলার প্রতিবাদ ও আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার ও সাংবাদিকসহ এলাকাবাসী।
বুধবার (২৬এপ্রিল) বুধবার বেলা ১২টার দিকে ধামরাই থানা বাসস্ট্যান্ড ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাই প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়ে প্রশাসনের প্রতি ইঙ্গিত করে রাজুর ওপর হামলাকারীদেও অতিদ্রত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এই সময়ে মানববন্ধনে স্থানীয় সাংবাদিক,এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ,যুবলীগ,ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্ররা উপস্থিত ছিলেন।
ধামরাই উপজেলা মাই টিভির প্রতিনিধি ও ধামরাই প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুর রশিদ তুষার এর সভাপতিত্বে উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ধামরাই প্রেক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ আবু হাসান, সাবেক সভাপতি মোঃ বাবুল হোসেন, ধামরাই প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিসুর রহমান স্বপন, দৈনিক সমকাল পত্রিকার ধামরাই প্রতিনিধি মোঃ মোখলেছুর রহমান, মানবজমিন পত্রিকার মোঃ আজাহারুল ইসলাম রাজু, মোহনা টিভির সাংবাদিক মেহেদী ইমামজান কায়ছার, প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার ধামরাই প্রতিনিধি মোঃ আব্দুর রউফ, ধামরাই পৌর যুবলীগের সভাপতি মোঃ আমিনুর রহমান,ধামরাই বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ সাইদুর রহমান পিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম শুভ। মানববন্ধনে ভুক্তভোগী রাজুর বাবা মোঃ আব্দুল গফুর বলেন, ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীরা আমার ছেলের উপর হামলা করেছে। আমার ছেলে এখন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মৃত্যুও সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমি এই অপরাধীদের দৃষ্টান্তমুল শাস্তির দাবি করছি। এই বিষয়ে রাজুর বড় ভাই দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার ধামরাই প্রতিনিধি মোঃ বাবুল হোসেন বলেন, আমার ভাই অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিল তাই তার দুষ। যার কারণে তাকে আজ হাসপাতাপলের বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছে। আমি থানায় মামলা করেছি কিন্তু ৫দিন হয়ে গেলেও পুলিশ একজন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তাই পুলিশের কাছে আমার দাবি দোষিদের দ্রত গ্রেফতার আইনের আওতায় আনা হোক।
উল্লেখ্য, উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বাস্তা গ্রামের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী শামীম ও শুকুর আলীসহ কয়েকজন বখাটে ঈদের দিন বিকেলে কুশুরা ইউনিয়নের শাসন গ্রামের মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে। এসময় দেবেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় অনার্সের ২য় বর্ষের ছাত্র মোঃ রাজু আহমেদসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী ওই মাদক ব্যবসায়ীদের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করেন। এরই জের ধরে ঈদের দিন গত রোববার বিকেল ৫ টার দিকে রাজু শাসন গ্রাম এলাকায় রাস্তায় বসে আড্ডা দিতে ছিল। এসময় ওই মাদক ব্যবসায়ী শামীম ও শুকুর আলী নেতৃত্বে সন্ত্রাসী ফারুক, জুয়েল, রাসেল, সেলিম, শাকিল, রায়হানসহ ৫/৭ জন রাজুর ওপর হামলা করে। হামলাকারিরা ধারালো ছ্যান দিয়ে রাজুর মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। বর্তমানে রাজু ধামরাই সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তবে তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এঘটনায় গত সোমবার রাজুর বড় ভাই মোঃ বাবুল হোসেন বাদি হয়ে ১৬জনকে আসামী করে ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।