ঢাকার ধামরাইয়ে স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় স্বামীকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিলেন বিচারক। ৪ মাসের শিশু সন্তানসহ পিটিয়ে স্ত্রীকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার দায়ে সোমবার দুপুরে মানিকগঞ্জ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এ আদেশ দেন।
আল মাহমুদ সবুজ নামের ওই স্বামী উপজেলার সদর ভান্ডারী পাড়ার মৃত আলতাফ হোসেন বাবুল হোসেনের পুত্র।
ভুক্তভাগী ও অভিযাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভান্ডারি পাড়ার মৃত বাবুল হোসেনের পুত্র আল-মাহামুদ সবুজ ধামরাই উপজলার অর্জুনালাই গ্রামের সাবিনা আক্তার আশাকে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক বিয়ে করেন। ৫বছরের বিবাহিত সময়ে গত জানুয়ারীতে সানজিদা ইসলাম আয়াত নামে কন্যা সন্তান জম্ম নেয়।
ইতি পুর্বেই যৌতুক দাবীতে স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল স্বামী সবুজ ও তার ভাই সোহাগ।
কয়েক সপ্তাহ আগে গহবধু সাবিনাকে স্বামী-মোঃ সবুজ ও দেবর সোহাগ মিলে মারধর করে চার মাসের শিশু সন্তানসহ গলা ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এই বিষয়ে গৃহবধূ সাবিনা আক্তার আশা জানান, পরকীয়ার কারণে ৪ মাসের কন্যা শিশু সন্তান স্বামী সবুজ এর আদর ভাল বাসা থেকে বঞ্চিত।
পরকীয়ায় বাধা দিলে শিশু সন্তানসহ রাতের আধারে বাড়ী থেকে বের করে দেন স্বামী আল-মাহামুদ সবুজ। সাটুরিয়া থানায় অভিযোগ দেয়ার পর মীমাংশার নাটক করে সময় পার করে ওরা। এই বিষয়ে আইনজীবি খন্দকার সুজন জানান, সাটুরিয়া থানায় নারী ও শিশু আইনে দায়ের হওয়া ১১(গ)৩০ ধারায় মামলর বিবাদী সবুজ জামিন চেয়ে আদালতে হাজির হন। কিন্তু ঘটনার সত্যতা পাওযায় বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী তাকে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।