ঢাকার ধামরাইয়ে সনি ব্রিকস নামক একটি ইট ভাটার ভেকুর নিচ থেকে মোঃ রোমান আহম্মেদ (১৭) নামে এক কলেজ ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। এতে স্থানীয়রা ধারণা করছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা।
বুধবার (২৪মে) দিনগত রাত ৯টার দিকে ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বাস্তা চৌরাস্তা সংলগ্ন সনি ব্রিকস নামক একটি ইট ভাটার ভেকুর ভিতর থেকে কলেজ ছাত্রের লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত রোমান আহম্মেদ ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বাইচাল গ্রামের সোহরাব হোসেন (টুক্কু) ছেলে। সে কুশুরা নবযুগ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভেকুর ভিতরে কীটনাশক পাওয়া গেছে। তবে কীটনাশক খেয়ে তার মৃত্যু হয়েছে কিনা তা নিয়ে জনমনে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। কারণ সে যদি কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করে তবে মৃত্যুর যন্ত্রণায় ছটফট করবে। এসময় ভেকুর গ্লাস ভেঙে শরীরের বিভিন্ন অংশ লেগে কেটে বা ফুলে যাবে। নয়তোবা গ্লাস ভেঙে যাবে। তবে এ গুলির কিছুই হয় নাই। ভেকু চালকের সিটের উপর নিথর দেহ পরে আছে। এতে বুঝা যায় পরিকল্পিত ভাবে তাকে হত্যা কওে কেউ ভেকু সিটের উপর রেখে গেছে। ইটভাটার লোকজন কাজ করতে গিয়ে ভেকুর উপর কলেজ ছাত্রের লাশ দেখে ডাকচিৎকার করে লোকজন ডাকে পরে লোকজন গিয়ে লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এই বিষয়ে সনি ব্রিকসের মালিক সাবেক চেয়ারম্যান ও ধামরাই উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ আহম্মদ হোসেন বলেন, গতকাল রাত ৯টার দিকে জানতে পারি ইটভাটায় ভেকু মধ্যে এক যুবকের লাশ পড়ে আছে। দৌড়িয়ে সেখানে গিয়ে দেখি এক কলেজ ছাত্রের লাশ পড়ে আছে। তবে সে আত্মহত্যা করেছে নাকি কেউ তাকে মেরে ভেকুর মধ্যে রেখে গেছে তা আমি জানি না। তবে ময়না তদন্তের রির্পোট পেলে বলা যাবে আত্মহত্যা নাকি হত্যা। এই বিষয়ে কাওয়ালিপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের এসআই নিউটন মৃধা বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এটা হত্যা না আত্মহত্যা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিহতের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন নেই। এটা হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বুঝা যাবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কীটনাশক খেয়ে তার মৃত্যু হতে পারে।