রাজধানি ঢাকার ধামরাইয়ে পূর্ব শক্রতার জের ধরে বাড়ী থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে আশরাফুল আলম এরশাদ (৪০) নামে এক যুবককে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা।
এই ঘটনায় তার বড় ভাই মোঃ আব্দুল বাশার বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এমন ঘটনাটি ঘটেছে ধামরাই উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া জালসা দক্ষিণ পাড়া গ্রামের। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক এসআই রাজু মন্ডল।
এর আগে গত সোমবার ১১ মার্চ দিনগত সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাড়ী থেকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে রাস্তার মধ্যে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তবে এই ঘটনায় আশরাফুল আলম এরশাদ কাউকে চিনতে পারেনী। আশরাফুল আলম এরশাদ ধামরাই উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া জালসা দক্ষিণ পাড়া গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা ইউনুছ আলীর ছেলে। পরিবারের দাবি অভিযোগ দায়ের করার পর ধামরাই থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্ত করতে যায়নি। ভুক্তভোগি সুত্রে জানা যায়, বালিয়াপাড়া জালসা এলাকার দক্ষিণ পাশে এন কে এম ফ্যাশন নামে একটি গার্মেন্টস কারখানা হয়েছে। সেই কারখানার পূর্ব পাশে আমি একটি দোকান নির্মাণ করিতেছি। সেই দোকান ভাড়ার নেওয়ার কথা বলে ০১৯৯৫-০৪৬৮২২ মোবাইল নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে আমাকে রাস্তায় যেতে বলে। আমি বাড়ী থেকে জামা পড়ে রাস্তায় যায়। তারা তিনজন লোক রাস্তা দিয়ে কথা বলতে বলতে দক্ষিণ দিকে গেলে তারা আমার চোখের মধ্যে হাত দিলে আমি আর চোখে কিছু দেখি না। এই তারা আমার ডান পায়ের বাটা বরাবর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপাতে থাকে। আমি ডাকচিৎকার করলে আশে পাশের লোকজন দৌড়িয়ে এলে দূর্বৃত্তরা আমাকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে লোকজন আমাকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে আমি তিনজনের একজনকেও চিনতে পারিনী। এই বিষয়ে ভুক্তভোগির বড় ভাই মোঃ আবুল বাশার বলেন, যারা আমার ভাইকে মোবাইলে ফোনে ডেকে নিয়ে কুপিয়েছে তাদের একজনকেও আমার ভাই চিনেনী। এই বিষয়ে আমি বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। কিন্তু কয়েকদিন পেড়িয়ে গেলেও থানা থেকে কোন পুলিশ তদন্তে আসেনি।
এই বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজু মন্ডল বলেন, কাওয়ালীপাড়া তদন্ত কেন্দ্র কাছে সেই জন্য ওসি স্যার কাওয়ালীপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ বিষয়টি দেখার কথা বলেছে। যদি কেউ না যেয়ে থাকে, তাহলে আমি গিয়ে তদন্ত করে দুষিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হবে।