
গতকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৯৮৩ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যদিও এ সময়ে নতুন কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. এম মুশতাক হোসেন বলেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধের মূল উপায় হলো মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। আমরা এক টন ময়লা সরাচ্ছি, কিন্তু দশ টন নতুন করে জমছে। নিয়মিত এ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা যথেষ্ট নয়—আমাদের হাজারো স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে দেশব্যাপী পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের টানা বৃষ্টিপাত এডিস মশার প্রজননের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছে। বৃষ্টি থেমে গেলেও ডেঙ্গু অন্তত আরও দুই মাস চলবে—প্রথম মাসে সংক্রমণ বাড়বে, পরের মাসে ধীরে ধীরে কমবে। তার পূর্বাভাস অনুযায়ী, প্রাদুর্ভাব চলতে পারে জানুয়ারির মাঝামারি পর্যন্ত।
ডা. মুশতাক আরও বলেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধযোগ্য রোগ, তবুও মানুষ মারা যাচ্ছে—এটি লজ্জাজনক। আমাদের প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী ও আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা আছে, কিন্তু সমন্বিতভাবে কাজ না করার কারণেই মৃত্যু ঠেকানো যাচ্ছে না।