ঢাকার ধামরাইয়ে ৭বছরের এক শিশুকে কৌশুলে ডেকে নিয়ে বলাৎকারের অভিযোগে মোঃ সজিবুর রহমান সজিব (১৮) নামে একজনকে আটক করেছে ধামরাই থানা পুলিশ।
বুধবার (২৬জুন) দিনগত রাতে অভিযান চালিয়ে ধামরাই উপজেলার সানোড়া ইউনিয়নের মাকড়খোলা তার নিজ এলাকা থেকে সজিবুর রহমানকে আটক করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় একটি বলাৎকার আইনে মামলা হলে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়। এর আগে গত রবিবার (২৩জুন) সানোড়া ইউনিয়নের মাকড়খোলা গ্রামের এমন ঘটনাটি ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার এসআই মোঃ আতাউল মাহামুদ খান। শিশুটি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে জানান তার পরিবার। মোঃ সজিবুর রহমান সজিব উপজেলার সানোড়া ইউনিয়নের মাকড়খোলা গ্রামের মোঃ আব্দুল জব্বারের ছেলে। ভুক্তভোগি পরিবার সুত্রে জানা যায়, গত রবিবার বেলা ১০টার দিকে সজিবুর রহমান সজিব শিশু সিয়ামকে কৌশলে ডেকে নিয়ে বাদশার বাড়ীর সামনে একটি মসজিদের বাথ রোমের ভিতরে নিয়ে (পাশবিক নির্যাতন) বলাৎকার করে।
এই সময় তার ডাকচিৎকারে পাশের লোকজন ছুটে এলে সজিবুর রহমান সজিব দৌড়িয়ে পালিয়ে যায়। পরে বাচ্চাটির অবস্থা খারাপ হলে তাকে ধামরাই সরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার ডাক্তার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে সে মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই বিষয়ে ভুক্তভোগির বাবা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার ৭বছরের শিশু সন্তানকে এত বড় সর্বনাশ করেছে সজিব। তারপর ও এলাকার মেম্বার মোস্তফা বিষয়টি বসে একটি সুরাহা করেছিল। কিন্তু তারা সেই কথা রাখেনী। আবার তারা আমাদের বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায়। পরে আমি আইনের মাধ্যমে সজিবের কঠিন শাস্তি ও সঠিক বিচার দাবি করছি। এই বিষয়ে মেম্বার মোঃ মোস্তফা বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বসে একটি সুরাহা দিয়েছিলাম, সেটা হল ছেলেটির চিকিৎসার জন্য যা যা দরকার হবে সেটা বিবাদী সজিবের আব্বা মোঃ আব্দুল জব্বার বহন করবে।
কিন্তু বাদী পক্ষ আমার কথা না মেনে থানায় এসেছে এখন আমি আর কি করতে পারি। এই বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ আতাউল মাহামুদ খান বলেন, ধামরাই উপজেলার সানোড়া ইউনিয়নের মাকড়খোলা গ্রামে বলাৎকারের ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়ে রাতেই অভিযান চালিয়ে আসামী সজিবুর রহমান সজিবকে তার নিজ এলাকা থেকে আটক করেছি। এরপর থানায় এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সজিব তা স্বীকার করেছে। পরে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ আইনে মামলা করে আজ সকালে তাকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।