ঢাকা জেলার ধামরাই বিধ্বস্ত থানার কার্যক্রম টানা এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর ফিরতে শুরু করেছে পুলিশ। এতে ধামরাই উপজেলার মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছেন বলে জানিয়েছে। এতে ধীরে ধীরে সব কিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে ধামরাই থানার কার্যক্রম। পুলিশের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় সাধারণ মানুষের ভীতি ও শঙ্কা কাটতে শুরু করেছে। জানা গেছে, এক সপ্তাহ পর কর্মস্থলে ফিরছে পুলিশ সদস্যরা।
পুলিশ কর্মবিরতীতে ১১ দফা দাবি করায় থানার কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এরপর আজ সকাল থেকে থানায় পুলিশ আসায় কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এতে সেনাবাহিনী ছাত্র-জনতা ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ সহায়তা নিয়ে থানার কার্যক্রম শুরু করেছে পুলিশ।
সোমবার (৫আগষ্ট) সকাল ১১টার দিকে ধামরাই সদর ইউনিয়নের শরীফবাগ বাজারে পুলিশের গুলিতে এক মহিলার নিহতের খবর পেয়ে ছাত্র জনতা নিহতের বিচার ও এক দফা দাবিতে মিছিল নিয়ে ধামরাই থানার দিকে আসে। এই সময় ধামরাই থানার পুলিশ ছাত্র জনতার মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ তাদের উপর গুলি চালাতে থাকে। এই সময় আফিকুল ইসলাম সাদ এর মাথায় গুলি লেগে মাটিতে পড়ে যায়। তার সাথে আরও ১২জন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তার সহপাঠিরা তাদেরকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে ধামরাই সরকারী হাসপাতলে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করে। এরপরই বিকাল বেলায় পুড়িয়ে দেওয়া হয় ধামরাই থানা সকল গাড়ী। ভেঙে ফেলা হয় থানার ভিতরে আসবাব পত্র। এরপর আফিকুল ইসলাম সাদ সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে চিকিৎসা অবস্থয় বৃহস্পতিবার (৮আগষ্ট) সকালে মৃত্যু বরণ করেন।
পুলিশ বলেন, সারা দেশে বিভিন্ন পরিস্থিতির কারণে আমাদের কঠিন সময় পার করতে হয়েছে। আমরা থানায় না থাকায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চুরি ডাকাতি ছিনতায়ের ঘটনা ঘটছে। এতে সাধারণ মানুষ বিপদে বেড়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে আমরা থানার কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি। আপনারা আমাদের পাশে থেকে পুলিশের কার্যক্রমকে গতিশীল করবেন বলে আমাদের আশা। এই বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সিরাজুল ইসরাম শেখ বলেন, আমাদের থানায় সব মিলিয়ে প্রায় ৫০জনের মত পুলিশ রয়েছে। তবে ধীরে ধীরে তারা থানায় আসতে শুরু করেছে। বর্তামানে থানায় আমাদের বসার কিছুই নেয়। তবে দুই এক দিনের মধ্যে এগুলি ঠিক করে থানার সকল কার্যক্রম পুরোধমে চলবে। আপনারা আমাদের সহযোগীতা করবেন।