ঢাকা জেলার ধামরাই থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ফেরত দেওয়া হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয়ে কিছু লোক থানায় এসে অস্ত্র, মোটরসাইকেল, ফ্রিজসহ কিছু মোবাইল ফেরত দেয়।
আজ মঙ্গলবার (১৩আগষ্ট) সকাল ১০টার দিকে আনসার প্লাটন কমান্ডার (পিসি) মোঃ ইসমাইল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ৭আগষ্ট থানার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বির্ভিন্ন সময়ে অস্ত্র ও মোটরসাইকেলসহ থানার বিভিন্ন জিনিসপত্র জমা দিয়ে যান অজ্ঞাত নামা ব্যাক্তিগণ। আনসার প্লাটন কমান্ডার (পিসি) মোঃ ইসমাইল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ফেরত দেওয়া অস্ত্রগুলি হল এস, এমজি ১টি, ম্যাগজিন ২টি, তাজাগুলি ৫১টি, চায়না রাইফেল ১টি, শর্টগান ৪টি, রিভলবার ১টি, শিষার রাউট ১৮৯টি, রাবার ৫৪টি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া থানার বিভিন্ন কর্মকর্তাদের প্রায় ১০টি মোটরসাইকেল এবং একটি ফ্রিজসহ ২৬টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি গত ৭আগষ্ট সকালে ১৫জন আনসার সদস্য নিয়ে ধামরাই থানার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত হয়।
এর পর থেকে আমরা থানা মসজিদের মাইক দিয়ে ঘোষনা দেওয়া হয়। যদি কোন ব্যাক্তি থানার পুলিশের কোন অস্ত্র নিয়ে থাকেন তাহলে সেগুলি থানায় এসে জমা দিয়ে যাবেন। আপনাদের নাম পরিচয় গোপন রাখা হবে। এর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে অজ্ঞাত ব্যাক্তি মোবাইল ফোনে অস্ত্র ও মোটরসাইকেলের এর কথা বললে আমরা ছাত্র-জনতাকে সাথে নিয়ে সেগুলি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিরা থানার গেটে এসে অস্ত্র মোটসাইকেল ও মোবাইল জমা দিয়ে গেছে। অস্ত্র ও মোটসাইকেল এবং মোবাইল জমা দেওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, গতকাল বিকালে ধামরাই পৌরশহরের কায়েদপাড়া এলাকা থেকে এক ব্যাক্তি মোবাইলে ফোন দিয়ে বলে আমাদের এখানে উপজেলা আনসারদের দুটি অস্ত্র আছে। আপনারা এসে নিয়ে যান।
কারণ এখানকার লোক আপনাদের কাছে যেতে সাহস পায় না। পরে আমরা দ্রæত সেখাপনে গিয়ে বস্তার ভিতর থেকে অস্ত্র দুটি উদ্ধার করে নিয়ে আসি। উদ্ধার করা সকল অস্ত্র, মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন, ধামরাই থানার দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর ২৭বেঙ্গল সারজেন্ট মোঃ আমিনুল ইসলাম এর কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, ধামরাই থানায় কতগুলি অস্ত্র ও গুলি ছিল সেগুলি হিসাব করে বলতে হবে।
তবে এই মুহূর্তে সঠিক তথ্য দেওয়া যাবে না। আমরা হিসাব করে পরে আপনাদের জানিয়ে দিব।