ঢাকার ধামরাইয়ে ফায়ার সার্ভিসে ড্রাইভার পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৪লাখ টাকা আত্মসাত। চাকরী না পেয়ে টাকা ফেরত চাওয়ায় গ্রাম্য সালিশী বৈঠকে ইউপি সদস্যসহ ৬জনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ফায়ারম্যান মোঃ জসিমের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (০৩ডিসেম্বর) দিনগত রাতে ধামরাই উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের হাতকোড়া বাজারের মোঃ শাহআলমের অফিসে এমন ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় ইউপি সদস্য মোঃ শাহীনুর ইসলাম বাদী ধামরাই থানায় ৮জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম।
আহতরা হলেন, ইউপি সদস্য মোঃ শাহীনুর ইসলাম, হাসিবুল ইসলাম, উভয় পিতা মোঃ শুকুর আলী। শাহীনুর ইসলামের স্ত্রী রাবেয়া আক্তার। বেনজির আহমেদ, মোঃ সাইফুল ইসলাম এরা সবায় হাতকোড়া এলাকার বাসিন্দা। মামলার আসামীরা হলেন, ফায়ারম্যান মোঃ জসিম, তরিকুল ইসলাম হাসেম, মোরসালিন হোসেন কাশেম উভয় পিতা মোঃ আব্দুস সামাদ । মোঃ সামাদ, মিজানুর রহমান, মোঃ মান্নান পিতা আজিমুদ্দিন। মোঃ আজিমুদ্দিন পিতা মোনসের আলী, মোঃ বারেক পিতা মোঃ বলাই তারা সবায় হাতকোড়া গ্রামের বাসিন্দা।
মামলা ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা গেছে, মোঃ সাইফুল ইসলাম ফায়ার সার্ভিসে ড্রাইভার পদে চাকরী দেওয়ার কথা বলে মোঃ জসিম সাইফুলের কাছ থেকে ৪লাখ টাকা নেয়। কিন্তু ফায়াম্যান জসিম সাইফুলকে চাকরী না দিয়ে ঘোরাতে থাকে। এরপর সাইফুল চাকুরীর আশা ছেড়ে দিয়ে টাকা ফেরত চায়। কিন্তু জসিম সেই টাকা দেই দিচ্ছি করে আর দেয় না। এরপর সাইফুল গ্রামের লোকজন নিয়ে জসিমের বাড়ীতে গেলে সে তিন কিস্তিতে ৩লাখ টাকা ফেরত দেয়। বাকী ১লাখ টাকা বছরের পর বছর গেলেও জসিম টাকা ফেরত দেয় না। সেই টাকার জন্য এবং জমির বিরোধ নিয়ে গ্রামের মাতাব্বর ও ইউপি সদস্য শাহীনুরকে নিয়ে হাতকোড়া বাজারে মোঃ শাহআলমের অফিসের বসেন।
গ্রাম্য সালিশী বৈঠকে ইউপি সদস্য ও সকল মাতাব্বরদের সম্পতিক্রমে ৭৫হাজার টাকা জসিম সাইফুলকে ফেরত দিবে বলে ধার্য করেন। কিন্তু ফায়ানম্যান জসিম সেই টাকা না দিয়ে ইউপি সদস্য শাহীনুর ও মাতাব্বর বেনজির, সদু মিয়া এবং সাইফুলকে জসিম ওতার ভাইয়েরা মিলে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এই খবর পেয়ে ইউপি সদস্যর স্ত্রী রাবেয়া আক্তার ও তার ছোট ভাই হাসিবুল ইসলাম সেখানে যাওয়ার পথে রাস্তায় জসিমের লোকজন ইউপি সদস্য শাহীনুর এর স্ত্রীকে পিটিয়ে হাত ভেঙে ফেলে এবং ভাইকে পিটিয়ে আহত করে ফেলে দেয়। তাদের ডাকচিৎকারে বাজারের লোকজন দৌড়িয়ে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে ধামরাই সরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার ডাক্তার রাবেয়া আক্তারকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
অপরদিকে বেনজির ও সাইফুলের মাথায় ছয়টি সেলায় দিয়ে হাসপাতলে ভর্তি করেন। এই বিষয়ে ইউপি সদস্য শাহীনুর ইসলাম বলে, আমার কি দুষ ছিল আমি ও গ্রামের মাতাব্বরা উভয় পক্ষের শান্তির জন্য এক জায়গায় বসে মিমাংসা করতে চেয়ে ছিলাম। কিন্তু জসিম টাকা না দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালিয়ে সবায়কে আহত করেছে। আমার স্ত্রী রাবেয়া আক্তারকে পিটিয়ে হাতটা ভেঙে ফেলেছে। আমি এর সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করছি।
এই বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, বিচারের মধ্যে বিচারকদের পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের আটক করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।