দেশে ঈদুল আজহার বাকি চার দিন। দেশের কোরবানির পশুর হাটগুলোতে গরুসহ অন্যান্য পশু নিয়ে এসেছেন খামারিরা।
ঢাকার ১৬ টি গরুর হাটে বিপুল সংখ্যক কোরবানির পশু বিক্রি হওয়া সত্ত্বেও দাম এখনও বেশ চড়া
হাটগুলোতে কোরবানির পশুর সরবরাহ বেশি থাকলেও ক্রেতা কম বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। অন্যদিকে দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পেরে উঠছেন না বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
ঈদের দুই দিন আগে দাম কমে যাওয়ায় গত বছর লোকসানের মুখে পড়েছিলেন তারা। তবে এবার গরু ব্যবসায়ীরা ক্রেতা কম থাকায় লোকসানের আশঙ্কায় দিন পার করছেন।
এদিকে গাবতলী গরুর হাটেও একই অবস্থা দেখেছেন সংশ্লিষ্টরা। গত বছর ব্যবসায়ীদের লোকসানের কারণে বাজারে বড় আকারের ষাঁড়ের সংখ্যা কম ছিল।
এক গরু ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমি ৫ লাখ থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দামের ১০টি বড় সাইজের ষাঁড় নিয়ে এসেছি, যার মধ্যে গত বছর অবিক্রিত পাঁচটি ছিল।’
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের এভারেস্ট ডেইরি অ্যান্ড এগ্রো ফার্মের মালিক মুসা ইব্রাহিম বলেন, গবাদিপশুর খাবারের দাম বেশি হওয়ায় এ ব্যবসায় লাভের আশা করা সত্যিই কঠিন।
তিনি বলেন, একেকটি বড় সাইজের ষাঁড়ের জন্য আমাকে বছরে প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ করতে হয়। এবছর তিনি ৫০ টি ষাঁড় লালন পালন করেছেন এই কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য। এর মধ্যে ২৫টি ইতিমধ্যে বিক্রি করেছেন
মজিবর জানান, এক লাখ থেকে সোয়া এক লাখ টাকার মধ্যে গরু কেনার জন্য এক হাট থেকে আরেক হাটে ঘুরে বাজেটের মধ্যে পছন্দের গরু মেলাতে পারিনি।
তিন মণের গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে ১ লাখ ১০ হাজার টাকার ওপরে, সাড়ে তিন মণের গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত। অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর গরুর দাম অনেক বেশি চাওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।